হাওড়ায় শতাব্দী প্রাচীন দত্ত কেবিন :

 
সময়যটা ছিল ইংরেজ শাসন। সাল ১৯২০, হাওড়া গঙ্গার গা ঘেষে চাঁদমারী ঘাটের পাশ দিয়ে হাওড়া স্টেশনের দিকে যাবার সময় ট্রেনের নিত্যযাত্রীদের জন্য তৈরী হল পরপর কয়েকটি গুমটি ঘর। যেখানে যাত্রীরা খাবার খেয়ে ,খানিক বিশ্রাম নিয়ে চলে যেত স্টেশনের নির্দিষ্ট প্লাটফর্মে।
অধুনা হাওড়া স্টেশন চাঁদমারী ঘাট ব্যাবসায়ী সমিতির অন্তর্ভুক্ত বন্দর স্বীকৃত এবং অনুমোদিত বেশ কয়েকটি হোটেল সারিবদ্ধ হাওড়া স্টেশনমুখি  খাবারের হোটেল এর অন্যতম "দত্ত কেবিন" ।  প্রতিষ্ঠাতা অম্বিকা কুমার দত্তর হাত ধরে পথ চলা শুরু এই *দত্ত কেবিনের*। ভোজনরসিক এই  হোটেল প্রথমে মেসার্স কিশোরী মোহন দত্ত অ্যান্ড ব্রাদার্স নামেই ছিল পরে তা *"দত্ত কেবিন"* নামে খ্যাত হয়। বাংলা ও বহুভাষী যাত্রীদের  কথা মাথায় রেখেই ফিশফ্রাই,ফিশ্ কাটলেট, ডেভিল সংগে ভাত ডাল আর মাছের ঝোল ছিল পদ।তারপর মোগলাই, এগরোল, পরোটা সহ্ আরো অনেক কিছু।
 মাছ ভাত ৬০ টাকা আর নিরামিষ ৫০টাকায় পেট পূরণ করতে দত্ত কেবিনের দরজা খোলা জানালেন বর্তমান সময়ের কর্ণধার অঞ্জন দত্ত।

নিত্য যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে অঞ্জন বাবু শুরু করতে চান এমন এক বিশেষ প্যাকেট যা সস্তা এবং স্বাস্থ্য কর খাবার এবং পরিবহনযোগ্য।এখানকার খাবার এতটাই ভালো যে এখানে খাবার খেতে মহাকরণ থেকে সোজাচলে আসতেন আব্দুল মান্নান, শীতল সরদারের মত বহু মানুষজন।
আগে ৯৩ জন কর্মচারী থাকলেও করোনা কালের পর বর্তমানে ২৭ জন কর্মচারী তেই চলছে দত্ত কেবিন। পানীয় জল পুরোটাই খরচ করে কিনে হোটেল চালাতে হয় এই যা, তবে নিয়মিত খরিদ্দার রা খুশি হলেই আমরাও খুশি বললেন অঞ্জন দত্ত। দিনের পর দিন রাতের পর রাত মাছ, ভাত, ডাল আর মাংস রান্না করে চলা শতাব্দী প্রাচীন খাবারের হোটেল ভোজন রসিকদেরএবং নিত্য যাত্রীদের রক্ষাকর্তl বলাই যায়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

**বসন্ত রঙে মেতে উঠল বেলঘড়িয়া নিউ বাসুদেবপুর রোড অধিবাসী**

পূর্ব কলকাতায় গাঙ্গোর মহোৎসব উদযাপন :

*নাদের পরিচালনায় আয়োজিত হলো "সার্বজনীন রবীন্দ্রনাথ" নামে অনুষ্ঠান **