পূর্ব কলকাতায় গাঙ্গোর মহোৎসব উদযাপন :

 চৈত্র মাসে রাজস্থান জুড়ে ধুমধাম আকারে উৎযাপিত হয় গাঙ্গৌর মহোৎসব। মহাদেব শিব এবং দেবী পার্বতীর মিলনকে স্মরণ করে এই উৎসবে মাতেন আপামর জনতা। বিগত ১৬ বছর ধরে সমস্ত রীতি নীতি মেনে পূর্ব কলকাতার বুকে জাঁকজমক ভাবে আয়োজন করা হয় গাঙ্গৌর মহোৎসবের। পূর্ব কলকাতা গাঙ্গৌর মহোৎসব কমিটির পরিচালনায় এদিন আয়োজন করা হয় গাঙ্গৌর মহোৎসবের। এই উৎসবে মাতেন অগণিত মানুষ। 
পুরাণ মতে, বিষ্ণুর তৃতীয় অবতার মৎস্য অবতীর্ণ হন এই মাটিতেই। রাজস্থানের ইতিহাস প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরানো। মাতৃতান্ত্রিক উপাসনার প্রভাবে শিবের সঙ্গে পার্বতীর আরাধনা বাংলার মত রাজস্থানেও প্রচলিত হয়েছে বহুযুগ আগে থেকেই। যা পরিচিত হয়েছে গাঙ্গোর মহোৎসব হিসেবে। পূর্ব কলকাতার এক ব্যাঙ্কয়েটে পূর্ব কলকাতা মাহেশ্বরী সভার উদ্যোগে আয়োজিত গাঙ্গোর মহোৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে সামিল হয়েছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি শশী বাঙ্গুর, অভিনেত্রী তথা পুষ্টিবিদ রেশমি বিয়ানি। এছাড়াও রাজস্থানী সমাজের ভক্তরা ছাড়াও এই উৎসবে হাজির ছিলেন বাংলার বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরাও। 
উৎসবের অন্যতম আয়োজক পূর্ব কোলকাতা মাহেশ্বরী সভার সভাপতি এবং বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী হেমন্ত মার্দা। তিনি বলেন ,‘‘ধর্মীয় উৎসবের মধ্য দিয়ে মানুষের মিলন মেলায় থাকে তৃপ্তি সুখ। পূর্ব কলকাতা মাহেশ্বরী সভা বছরব্যাপী সামাজিক দায়িত্বও পালন করে। তিনি বলেন, শুধু পুজো নয়, সারা বছরই আমরা সমাজসেবামূলক কর্মযজ্ঞ করে থাকি। সংস্থার পক্ষে সভাপতি হেমন্ত মার্দা,। পূর্ব কলকাতা মাহেশ্বরী কমিটির সম্পাদক রাজেশ চন্দক ও কোষাধ্যক্ষ ভগবতী মুন্দ্রা উৎসবে হাজির সবাইকে জানান শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
। গত ১৬ বছরব্যাপী এই উৎসব ধুমধাম আকারে আয়োজিত হয়ে থাকে। তিনদিন ব্যাপী আয়োজিত এই উৎসব প্রাঙ্গণে ছিল রকমারি খাবারের সম্ভার। একদিকে মেহেন্দি পড়ার ঢল। আরেকদিকে নিয়ম নিষ্ঠা ভরে পুজোর আয়োজন। 

পূর্ব কলকাতার ফুলবাগান থানার একেবারে কাছে পূর্ব কলকাতা মহেশ্বরী কমিটির উদ্যোগে গত ২০০৯ সাল থেকে আয়োজিত হয়ে আসছে এই উৎসবের। শীতের শেষ এবং বসন্তের শুরু এই দুটো সময়কে উদযাপন করতে নববর্ষের ক্ষণে সূচিত হয়ে থাকে গাঙ্গোর মহোৎসব। এই উৎসবে বিবাহিত মহিলারা যেমন তাদের স্বামী এবং পরিবারের মঙ্গল কামনায় এবং সমৃদ্ধি কামনায় মহেশ্বর এবং পার্বতী দেবীর কাছে প্রার্থনা করে থাকেন তেমন অবিবাহিত মহিলারা মহেশ্বরের মতো আদর্শ স্বামী কামনায় ঈশ্বরের কাছে নিবেদন রাখেন। বহু বিদেশ থেকে আগত দশরথীরাও সমিল হন এই দিনের এই পুজো প্রাঙ্গনে আগামী প্রজন্মের কাছে উৎসবের তাৎপর্য তুলে ধরার আমাদের একমাত্র কর্তব্য এমনটাই বলেন উদ্যোক্তারা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

**বসন্ত রঙে মেতে উঠল বেলঘড়িয়া নিউ বাসুদেবপুর রোড অধিবাসী**

**বাংলার সন্মান বেঙ্গল এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড ২০২০**