১৮ টি মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী দায়িত্ব নিয়ে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করলেন বেলঘড়িয়া ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজ :

https://youtu.be/BfvUHiqfiJ4রাজ্যের বুকে যত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে সেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মধ্যে নজির সৃষ্টি অভিনব ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে বেলঘড়িয়া ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজ l  ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজ এর পক্ষ থেকে শিক্ষা আনে চেতনা চেতনা আনে বিকাশ l এই স্লোগান নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ এক অভিনব কর্মসূচি গ্রহণ করে l 
কামারহাটি পৌরসভার অন্তর্গত অঞ্চলের মধ্যে স্কুলের অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করল বেলঘড়িয়া ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজ l 

কামারহাটি পৌরসভার অন্তর্গত নয় টি স্কুল বেলঘড়িয়া হাই স্কুল ,বেলঘড়িয়া মহাকালী উচ্চ বিদ্যালয়, বেলঘড়িয়া দেশপ্রিয় বিদ্যানিকেতন বালক বিভাগ ,বেলঘড়িয়া দেশপ্রিয় বিদ্যানিকেতন বালিকা বিভাগ ,নন্দন নগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, নন্দন নগর বালক বিভাগ, জাতীয় বিদ্যানিকেতন ,যতীন দাস হাই স্কুল বালক, যতীন দাস বালিকা বিদ্যালয়, প্রত্যেক স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের স্কুলের অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া পড়াশুনায় ভালো ছাত্র এবং ছাত্রী দুজনের নাম ঠিক করে ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায় l 
মোট ১৮ জন ছাত্র-ছাত্রী কে ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের উচ্চ শিক্ষার দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন । এছাড়াও কোন ছাত্র-ছাত্রী যদি আরো উচ্চশিক্ষার দিকে যেতে চায় তাদের সেই শিক্ষা চালিয়ে যাবার জন্য ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজ কর্তৃপক্ষ এই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকবে বলে জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ ।
  এছাড়াও  অনুষ্ঠান মঞ্চে কলেজের  অধ্যাপক প্রস্তাব দেন যে সমস্ত স্কুলের যদি বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করানোর জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজন হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পক্ষ থেকে যদি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে তারা আবেদন করেন যে সমস্ত বিষয়ের শিক্ষকের প্রয়োজন পড়বে আরো ভালো পড়াশোনা করাবার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের তবে ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং অধ্যাপকেরা সেই সমস্ত স্কুলে গিয়ে সেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কে বিশেষভাবে পাঠ দান করবেন। এছাড়া বেলঘড়িয়া ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজ কর্তৃপক্ষ আরো উদ্যোগ নিয়েছিল যেমন কলেজে যেসমস্ত ছাত্রছাত্রীরা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া আছে তারা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে যদি আবেদন করে যেহেতু এই কোরনার সময়ে সমস্ত শিক্ষাব্যবস্থা টায় চলে গেছিল অনলাইনে ।  সে কারণেই নেটের প্রয়োজন হতো। 

সে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইলের নির্ভর হয়ে পড়েছিল । তাই সেই মোবাইল ফোন রিচার্জ করে দিতো কলেজ কর্তৃপক্ষ । কোরনা সময় যেসমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বা তাদের পরিবারের অভিভাবকেরা অসুস্থ হয়েছে তাদের পাশে কলেজ কর্তৃপক্ষ দাঁড়িয়ে ছিলেন সমস্ত রকমের সাহায্য নিয়ে । এছাড়া আরও অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তারা যেটা রাজ্যের বুকে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এবং ভাবনা পুরুলিয়া জেলার  পিছিয়ে পড়া সেই জেলার  দুটি গ্রাম এবং স্কুলের দায়িত্ব তারা নিয়েছেন ।
 এই সমস্ত বিষয়টা সামাজিক দায়বদ্ধতার মাথায় রেখেই কলেজ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন শিক্ষাসহ সামাজিক কাজের উদ্যোগ নিচ্ছেন। এই অনুষ্ঠানের উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্র ছাত্রী তারা প্রত্যেকেই অভিভূত হয়েছে ।  এই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছে যেভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে এই সুযোগ পেয়ে এই ছাত্র ছাত্রীরা আরো অনেকটা শিক্ষার আঙিনায় পৌঁছে যেতে পারবে ।  
যে ভাবে ড্রপ আউট হচ্ছে স্কুল থেকে কলেজ থেকে সেই ড্রপ আউট আট কানোর জন্যই তাদের সীমাবদ্ধ ক্ষমতার মধ্যে দাঁড়িয়ে এই ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বেলঘড়িয়ার ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজ ।  এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যাপক ডক্টরেট শুভ্রনীল সোম । 

 পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এবং এই অনুষ্ঠানে এক অধ্যাপক সঙ্গীত পরিবেশন করেন । শেষে জাতীয় সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠান তারা শেষ করেন ।  এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইতিহাসের অধ্যাপক শেখ মা কলেশ্বর রহমান। অধ্যাপক তারাশঙ্কর মাইতি ।  অধ্যাপক ডক্টরেট ধনঞ্জয় হালদার এবং পরিচালক সমিতির সদস্য প্রদীপ মজুমদার। পরিচালন সমিতির সদস্য শ্রীদ্বীপ ব্যানার্জি ও অধ্যাপক সায়ন মুখার্জি ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

**বসন্ত রঙে মেতে উঠল বেলঘড়িয়া নিউ বাসুদেবপুর রোড অধিবাসী**

পূর্ব কলকাতায় গাঙ্গোর মহোৎসব উদযাপন :

**বাংলার সন্মান বেঙ্গল এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড ২০২০**