মনোহরার দেশে মা এসেছেন ডাকের বেশেঃ
শহর ছাড়িয়ে এবার আমরা পৌছে গেছিলাম হুগলীর বিখ্যাত জনপদ জনাইয়ে। সেখানকার বিখ্যাত জমিদারবাড়ী মাঝের বাড়ীতে। আনুমানিক প্রায় তিনশো বছরের পূজো এই মাঝেরবাড়ীর পূজো। পূজো শুরুহয় জনাইয়ের বিখ্যাত তিন জমিদার হরমোহন মুখোপাধ্যায়, কালিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় হাত ধরে। কালান্তরে এই পূজো কালিবাবুর পূজো ও মাঝেরবাড়ির পূজো হিসাবে বিভক্ত হয়ে যায়। আমরা আজ পরিবারের সদস্য প্রিয়াঙ্কা মুখোপাধ্যায়ের আমত্রনে মাঝের বাড়ীর পূজো দেখতে জনাইয়ে মাঝেরবাড়ীতে উপস্থিত ছিলাম। পূজো সম্মন্ধে নানা অজনা তথ্য শুনলাম পরিবারের প্রবীন সদস্য অভিজিৎ চ্যাটার্জী মুখে। তিনি জানালেন কিভাবে কালের প্রবাহ স্রতো পূজোর রুপ পাল্টেছে।
এখন অনেক উপাচার আর নেই। তবে যেটা আছে সেটা হল পূজোর পাঁচদিন অফুরন্ত আনন্দ। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে র্নিভেজাল আড্ডা আর ভোগ খাওয়া। এখানে দেবী দূর্গা মাতৃরুপে পূজিত হন। আগে পশু বলি প্রথা থাকলেও এখন আর তা নেই। তবে সবজী বলি এখনো হয়। এখানে একটা বিশেষত্ব হল অষ্টমীততে কল্যানী পূজো যেখানে মাকে নয়টি ঘট কাপড় মিষ্টি নিবেদন করা হয়।
আর দশমীর বিদায় বেলায় মা পান্তা ভাত খেয়ে কৈলাসের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরিবারের সদস্য প্রিয়াঙ্কা মুখার্জীও মধুমিতা রায় জানান ছোটবেলার পূজোর সাথে এখনকার পূজো অনেক পার্থক্য তবে আনন্দে ভাটা পড়ে নি। পূজোর পুরোহিত শান্তনু ভট্টাচার্য্য ও পরিবারের সদস্য পীযুষ ব্যানার্জী জানান সমস্ত রীতিনীতি মেনে পূজো হয়।
সব শেষে বলাই যাই জমিদারি প্রথা আজ না থাকলেও জীর্ন বাড়িটা আজও তার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। তাই একবার হলেও আপনারা জনাই মাঝের বাড়ীর পূজো দেখে আসুন ভালো লাগবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন