*নাদের পরিচালনায় আয়োজিত হলো "সার্বজনীন রবীন্দ্রনাথ" নামে অনুষ্ঠান **

কবি-সাহিত্যিকরা একটি জাতিকে নানাভাবে নিজেদের লেখনী দ্বারা উপকৃত করেন। বাঙালি জাতির তেমনই একজন বিখ্যাত সাহিত্যিক হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালি মনীষার এক আশ্চর্য প্রকাশ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিচিত্র ও বহুমুখী সাহিত্য প্রতিভার জন্য শুধু নয়, তাঁর ভাব, ভাষা, বিষয়বস্তুর গভীরতার জন্যও তিনি অনন্য। বহু গবেষক বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি নিয়ে। নানা অজানা তথ্য নিয়ে নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশায় গবেষণা করেছেন। কেউ রবী ঠাকুরকে নতুন করে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁর লেখা গানের মাধ্যমে। কেউ খুঁজে পান কবিতার মাধ্যমে। ছন্দে। নাচে। 

শব্দে। ভাষায়। সুরে। প্রতিনিয়ত এক এক জন এক এক রকম ভাবে আবিষ্কার করে থাকেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। এদিন নাদ নামে সাংগীতিক গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিশ্ব বরেণ্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত জন্মভূমিতে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ সন্ধ্যা অনুষ্ঠানের। যেখানে সার্বজনীন রবীন্দ্রনাথ নামে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে বহু স্বনামধন্য শিল্পীরা আসেন নানা ভাষায় নানা ভঙ্গিতে নানা আঙ্গিকে বিশ্ব বরেণ্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উপস্থাপন করেন এই দিনের এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অ্যাকাডেমী নৃত্য , নাটক,  সংগীত দৃশ্যকলা এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে কলকাতা জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি উদয় শংকর হলে আয়োজিত হয় এই দিনের এই অনুষ্ঠান। এই দিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট শিল্পীরা। নাদ নামে এই সাংগীতিক গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি তৃণা ঘোষের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয় এই দিনের এই অনুষ্ঠান। এছাড়াও এই দিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী মনিমালা চক্রবর্তী , সঙ্গীত শিল্পী শিপ্রা ব্যানার্জি , কাঞ্চন ব্যানার্জি, বৃষ্টি সামন্ত , অরিন্দম মুখোপাধ্যায়, নৃত্য শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত দাস , অন্তরা গোস্বামী , রঞ্জন কুমার দাস সহ বহু বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পীরা। 

এদিন সন্ধ্যায় নাচে গানে উদয় শঙ্কর হল সমস্ত সাংস্কৃতিক শিল্পীদের সংস্কৃতি আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে ভরে ওঠে। এই দিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল শিল্পীদের নাদ নামে সাংগীতিক গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিশেষ সম্মান প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন নাদের সদস্যরা। এর সাথে সাথে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এর পর একে একে কবিতা কেউ ভাষ্য পাঠ আবার কেউ নাচের তালে গানের সুরের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব বরেণ্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উপস্থাপন করার চেষ্ঠা করেন। 
এই দিনের এই অনুষ্ঠানে সামিল হয়ে খুব আপ্লুত এবং অভিভূত বলে জানান সকল শিল্পী এবং অতিথিরা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

**বসন্ত রঙে মেতে উঠল বেলঘড়িয়া নিউ বাসুদেবপুর রোড অধিবাসী**

পূর্ব কলকাতায় গাঙ্গোর মহোৎসব উদযাপন :