পূজ্যপাদ শিবকৃপানন্দ স্বামীজির সান্নিধ্যে অভূতপূর্ব সফলতা পেল 'চৈতন্য মহোৎসব'
পূজ্যপাদ শিবকৃপানন্দ স্বামীজির সান্নিধ্যে অভূতপূর্ব সফলতা পেল 'চৈতন্য মহোৎসব'
করোনার মহামারীর সময়ে বহু লোককে হতাশা নামক এক নতুন রোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এই সময়ে মানুষকে আনন্দময় হয়ে উঠতে এবং আধ্যাত্মিকতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণার উদ্দেশ্য নিয়ে, সমর্পণ ধ্যানযোগের প্রতিষ্ঠাতা পরমপূজ্যপাদ শিবকৃপানন্দ স্বামীর সান্নিধ্যে ৭-৯ই নভেম্বর ফেসবুক ও ইউটিউব-এর মাধ্যমে ৭২ ঘন্টা অনলাইন সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল "চৈতন্য মহোৎসব"। শ্রী শিবকৃপানন্দ ফাউন্ডেশন দ্বারা আয়োজিত "গুরু তত্ত্ব" আকারে সম্প্রচারিত কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে ভারত ও বিদেশের লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হন।
বিভিন্ন ধর্মের সাধুদের হাতে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয় । গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ভাই রুপানী ভাবনগরের সাংসদ ড. ভারতীবেন শিয়াল, কচ্ছ-এর সাংসদ বিনোদ ভাই চাওড়া এবং নাগপুরের ডিআইজি সন্দীপ পাতিলের শুভেচ্ছা সমেত সাক্ষাৎকারের ভিডিওগুলি প্রদর্শিত হয়।
তিন দিনের কর্মসূচিতে পূজ্যপাদ স্বামীজীর সান্নিধ্যে সকাল শুরু হত ধ্যান সহযোগে। এরপরে তিনি ও পূজ্যাপাদ গুরুমা কর্তৃক অমূল্য বচন, আধ্যাত্মিক প্রশ্নোত্তর পর্ব, যোগ পর্ব, 'গুরুকথা', বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান , ভজন, সাক্ষাৎকার, অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার পর্বগুলিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের লোকের পাঠানো বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন স্বামীজি। বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল অনলাইন যজ্ঞ পরিচালনা, বহু মানুষ বাড়িতে বসেই শ্রী রামকাকার পরিচালনায় যজ্ঞে অংশ নেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে পূজ্যপাদ স্বামীজি বলেন, "আত্মহত্যা ব্যর্থতার প্রতিকার নয়। যে ব্যক্তি জীবনে বারবার ব্যর্থ হন, তিনি সবচেয়ে সফল ব্যক্তি। নিজের জীবনে ধ্যানকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি ইতিবাচক সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে উপকার পাওয়া যায়। সমষ্টিগতকরণ করে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে অনেকে মুক্তি লাভ করেন। ধ্যান আমাদের সুষম করে তোলার পাশাপাশি কাজে সাফল্য দেয় কারণ ভারসাম্যপৃর্ণ ব্যক্তির প্রচেষ্টা সর্বদা ভারসাম্যপূর্ণ হয়ে থাকে"।
পূজ্যাপাদ গুরুমা ব্যাখ্যা করে বলেন " স্বর্গ ও নরক আমাদের সাথে থাকে। আমরা তখনই খুশী হই যখন স্বর্গে থাকি, আবার নরকে থাকলে দুঃখ-হতাশা গ্রাস করে। তবে স্বর্গ সুখ পেতে গেলে নিয়মিত ধ্যান যোগের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা লাভ করতে হবে"।
উল্লেখ্য যে এই বছরটি সমর্পণ পরিবারের উদ্যোগে 'শিশু বছর' হিসাবে ঘোষিত হয়েছিল। দেশ-বিদেশের শিশু যত্ন কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বারা নান্দনিক এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক শিল্পকর্ম অনলাইনে প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে উচ্চ প্রশংসিত হয়।
শ্রী শিবকৃপানন্দ স্বামী ফাউন্ডেশনের পরিচালক শ্রী অম্বরীশজির নেতৃত্বে ডান্ডি সমর্পণ আশ্রমের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিরলস প্রচেষ্টায় সামগ্রিক কর্মসূচি সফলতা লাভ করে ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন