করোনা কালে বিপদে পাশে থাকার বন্ধু রেড ভলেন্টিয়ার্সঃ
সদ্য ভোট শেষ হয়েছে আপনার আমার পাড়ার লাল ঝান্ডা কাঁধে নেওয়া ছেলেটা সবার মতো বিশ্রাম না নিয়ে হয়ে উঠেছে বিপদে পাশে থাকার বন্ধু রেড ভলান্টিয়ার্স।
নিজের দুচাকা কে সম্বল করে একপাড়া থেকে আর এক পাড়ায় সকাল সন্ধ্যা রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে অক্সিজেন সিডিন্ডার নিয়ে করোনা রুগীর জীবন বাচাতে তৎপর এই সব তারুণ্যে ভরপুর যুবক যুবতীরা। শুধু অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ছোটা নয় আপনার বা আমার পরিবারে কেউ করোনা আক্রান্ত তাকে হাসপাতালে ভর্তী করা বা তার ঔষধের ব্যবস্থা করা বা সেই আক্রান্তের পরিবারকে খাবারের ব্যবস্থা করে তাদের পাশে দাড়ানোটাই এখন ওদের মূল লক্ষ্য। এর বিনিময়ে ওরা শুধু চায় করোনা আক্রান্ত আমার আপনার পরিবারের মানুষটি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে ওঠে। বিধানসভা ভোটের পর সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন জেলায় ওরা ছুটে চলেছে দিনরাত এক করে নিজের পরিবারের কথা না ভেবে। আর ওদের কাছে বিপদের দিনে সাহায্য ও ভালোবাসা পেয়ে অনেক অসহায় মানুষ খুবই আপ্লুত হয়েছেন। ঐ অসহায় মানুষগুলোর সাথে হয়তো ওদের রক্তের সম্পর্ক নেই কিন্তু আজ এই করোনা মহামারির দিনে ওদের কাজ প্রমান করে দিল ভালোবাসা কে কোন সম্পর্কে বেধে রাখা যায় না।
ওরা শূন্য সারা রাজ্যের মানুষ এই ভোটে ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কিন্তু তাই বলে ওদের কোন অভিমান নেই মানুষের ওপর। তাইতো বিপদের দিনে কামারহাটীর পরাজিত প্রার্থী সায়নদীপ হোক বা রাজারহাটের প্রার্থী সপ্তর্ষীদেব হোক বা সুভাষগ্রামের সিপিএমের যুবকর্মী অঞ্জন হোক সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে লড়াই করছে করোনা বিরুদ্ধে। সবশেষে একটাই কথা বলা যায় যাদের দুহাত তুলে আমরা আর্শীবাদ করলাম তাদের বিপদে পাশে না পেলেও শুন্য হাতে ফেরার পাড়ার তরুন বামপন্থী যুব কর্মীটাকে বিপদে ঠিক পাশে পাওয়া যাবে। তাই এই করোনা কালে মানুষ বিপুল ভোটে জয়ী হওয়াকে ছেড়ে শুন্যকে বেশি ভরসা করছে।
স্যালুট রেড ভলান্টিয়ার্স এভাবে এগিয়ে যাও তোমারা আরো আরো অসহায় মানুষের পাশে দাড়াও বিপদের বন্ধু হয়ে।
ভালো থেকো রেড ভলান্টিয়ার্স।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন