শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ ফের প্রকাশ্যে।

নদিয়া কল্যাণী গয়েশপুর :- শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ ফের প্রকাশ্যে। সাংসদ ও নদীয়া জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্রকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের একাংশ। সেই বিক্ষোভ হঠাৎ গিয়ে হাতাহাতি শুরু হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। ঘটনাটি ঘটে, রবিবার নদীয়ার গয়েশপুরে।
এদিন কল্যাণী বিধানসভার কয়েকটি জায়গায় বুথ কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কল্যানীর বৈঠক সেরে গয়েশপুরের সুকান্ত সদনে আসেন তৃণমূলের সাংসদ। সেখানে তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মিন্টু দের নেতৃত্বে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। তাঁদের হাতে দেখা যায় বেশ কিছু প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, বহিরাগত শহর সভাপতিকে মানছি না মানব না। 
মহুয়া মৈত্র সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের কর্মীরা। এ বিষয়ে মহুয়া মৈত্র বলেন, " এটা দলের অভ্যন্তরীন ব্যাপার। কিছু রাগ অভিমান ছিল। সেগুলো বৈঠকের পর মিটে গিয়েছে।"
এই ঘটনার পরই গয়েশপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপারসন মরণ কুমার দে বলেন, " বহিরাগতকে বহিরাগত বলা হয়েছে। দলকে এই বিষয়টি দেখতে হবে।"
তবে প্রকাশ্যে এই গোষ্ঠীদ্বন্দের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের বর্তমান শহর সভাপতি সুকান্ত চ্যাটার্জি। তিনি বলেন, " এই বিক্ষোভ দলের ক্ষতি। সবাইকেই আমন্ত্রণ করা হয়েছে। আমি ইউপি, বিহার থেকে আসিনি। আমি এখানকার বাসিন্দা"।
এদিন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ঝামেলা নিয়ন্ত্রণে আনার সময় সাংবাদিকদের দু'পয়সার সাংবাদিক বলে কটাক্ষ করেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের কেন তিনি দু'পয়সার সাংবাদিক বললেন এই প্রশ্ন মহুয়া মৈত্রকে করা হলে তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন,এ ধরণের কোনো কথা তিনি বলেননি। যদিও এই ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নির্বাচনী প্রচার ও জনসংযোগ সভায় বিজেপি-সিপিআইএম ছেঁড়ে বিপ্লবের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান ৫০টি পরিবার :

ওয়েভ সিরিজ *"MURDER 2020"* আসছে

**বাংলার সন্মান বেঙ্গল এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড ২০২০**