বিশ্ব শান্তি স্থাপনে আহমদীয়া মুসলিম জামাত :


৬৮ তম বাৎসরিক  আহমদীয়া মুসলিম জামাত ইব্রাহিমপুর, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ।

*যুদ্ধ নয় শান্তি চাই*
- LOVE FOR ALL HATRED FOR NONE 

আহমদীয়া মুসলিম জামাতের পবিত্র প্রতিষ্ঠাতা হজরত মীর্যা গোলাম আহমদ ই হলেন ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হজরত মুহাম্মদ মোস্তাফা (সাঃ) এর ভবিষ্যৎ বানী অনুযায়ী শেষ যুগে আগমনকারী প্রতিশ্রুত মহাপুরুষ। তিনি ১৮৮৯ সালে আল্লাহতালার কর্তৃক বানী প্রাপ্ত হয়ে এই পবিত্র ইসলামী জামাতের ভিত্তি স্থাপন করেন। আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় একটি ছোট সম্প্রদায় এটি ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার পতাকা বহন করে এবং এর প্রতিনিধিত্ব করে থাকে বিশ্বে বসবাসকারী প্রত্যেক আহমদি সেই দেশের অভ্যন্ত বিশ্বভ নাগরিক এবং সেই দেশকে ভালোবাসে। আর এটি আমাদের নবি হজরত মহম্মদ সাঃ এর শিক্ষার কারনে তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে "দেশ প্রেম বিশ্বাসের অঙ্গ" (তফসীর হাক্কি সুরা আল কাব্বাস: ৮৬) আহমদীয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, 'বিশ্ব প্রতিপালক (আল্লাহ) তাঁর উপর দুইটি দায়ীত্ব অর্পণ করেছেন। একটি হলো স্রষ্টার অধিকার, আর একটি হলো সৃষ্টির অধিকার।" তিনি আরও বলেন “সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্ট জীবের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার কারনে যে বিদ্বেশ সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে আর মানবের মধ্যে প্রেম প্রীতির সম্পর্ক স্থাপন করতে এবং সত্য প্রচারের মাধ্যমে ধর্মীয় দন্দের চীর অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতেই আমার আগমন।"(এসেন্স অব ইসলাম, ৪ঠা খন্ড, পৃঃ ১১১)।

তিনি আরও বলেন - " সেই ধর্ম ধর্মই নয়, যে ধর্মের মধ্য সার্বজনীন সহানুভূতির শিক্ষা নাই।" আর "এই মানুষ মানুষই নয় যার মধ্যে সহানুভূতী নাই' (শান্তির বার্তা দ্রষ্টব্য)। আহমদীয়া মুসলিম জামাত একটি উন্নতমানের ইসলামী সংস্থা যার মূলে আছেন একজন বিশ্বজনীন আধ্যাত্মিক নেতা (খলিফা)। আহমদীয়া মুসলিম জামাত বিশ্বাস করে যে একমাত্র আধ্যাত্মিক প্রতিনিধিত্বই ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ ও মানব ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে। সুতারাং ১৯০৮ সনে হজরত মীর্যা গোলাম আহমদের ৪জন খলিফা অতিবাহিত হয়েছেন। বর্তমানে এই জামাতের ৫ম খলিফা হজরত মীর্যা মাফর আহমেদ সেই আধ্যাত্মিক পদে অধিষ্ঠিত হই। উক্ত আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের অধিনে বর্তমানে ১৩৩ বছরে আহমদিয়া মুসলিম জামাত বিশ্বের ২১৫টি দেশের ১৫০০০ এর বেশি মসজিদ ও মিশন, ৫০০এর বেশি বিদ্যালয় ও ৩০টি অধিক হাসপাতাল নির্মাণ করেছে ৭৫টির অধিক ভাষায় কোরান করিমের অনুবাদ করেছে, বিশ্বের ৭ টি মহাদেশে ছয়টি মুসলিম টেলভেশণ আহমদীয়া (MTA) এর মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা ইসলামের শান্তি ও উদারতার বাণী বিশ্বব্যাপি প্রচার করে যাচ্ছে। ইন্টারনেট (alislam.org.ahmadiyya india/ahmadiyyabangla.org) ও বিভিন্ন প্রকার পুস্তাকাদি ও প্রত্রিকাদি প্রকাশনের মাধ্যমে ও উক্ত কর্ম অব্যাহত আছে। আহমদীয়া জামাতের একটি স্বাধিন দাতব্য সংস্থা HUMANITY FIRST

(humanityfirst.org); যেটি বিশ্বব্যাপি আকস্মিক দুর্ঘটনায় সাহায্য ও মানব কল্যানে নিয়োজিত আছে। বর্তমান বিশ্বে রাজনৈতিক, ভৗগলিক, অর্থনৈতিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় থেকে সৃষ্ট যে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজমান। যা পৃথিবীকে অস্বাভাবিক দ্রুততার সাথে এক ভয়ংকর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে প্রেরন করছে। আর এই ভাবতবা পূর্ণ হওয়া অবশ্যান্তরী তা অনুধাবন করে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বর্তমান নেতা(খলিফা) হজরত মির্যা মাসরুর আহমেদ বিগত ১৫ বছর ধরে পৃথিবীতে আসন্ন এই বিপদাবলি সম্পর্কে প্রত্যেক বিশ্বেষ ব্যাক্তি ও সাধারন মানুষ কে সচেতন করে চলেছেন। বিগত বছরগুলিতে তিনি

বিশ্বের বড় বড় শক্তিধর দেশের রাষ্ট্র প্রধান ও ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে ভাষন ও পত্র যোগে মানব জাতির শান্তি ও নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে যে উপদেশ বাণী দিয়েছেন তা হলঃ ১. আজ বিশ্বের অবস্থা যে দিকে ধাবিত হচ্ছে এতে বিগত দুইটি বিশ্বযুদ্ধের ন্যায় নিঃসন্দেহে এরকমই একটি যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্খা বিদ্যমান। অতএব পৃথিবীর পরাশক্তি গুলোর দায়িত্ব হবে যে, তারা যেন আলোচনায় বসে এবং মানবতাকে ধ্বংসযজ্ঞের কিনারা হতে উদ্ধার করে। ২. বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা রাখতে প্রচেষ্টার ভিত্তি হবে ন্যায় নীতি এবং সুবিচারের দাবীকে পূর্ণ করা।

৩. আমরা আমাদের আগামী প্রজন্মকে পঙ্গুত্বের উপহার দেওয়ার পরিবর্তে যেন এক উজ্জল ভবিষ্যৎ উপহার দিতে পারি।

অন্যথায় পৃথিবী মির্যা গোলাম আহমেদ (আঃ) এর ভবিষ্যৎ বানীটি পূর্ণ হতে দেখবে। তিনি আঃ বলেন, "হে ইউরোপ। তুমি নিরাপদ নও, হে এশিয়া। তুমিও নিরাপদ নও, হে দ্বিপবাসিগন। কোন কল্পিত খোদা তোমাদেরকে সাহায্য করবেনা। আমি শহর গুলিকে ধ্বংশ হতে দেখছি এবং জনপথগুলিতে জনমানব শূন্য পাচ্ছি। সেই একমেবাদ্বিতিয়ম খোদা দীর্ঘকাল যাবৎ নীরব ছিলেন। তাঁর সম্মুখে বহু অন্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতদিন তিনি নীরবে সহ্য করে গেছেন। এখন তিনি রুদ্রমূর্তীতে স্বীয় স্বরূপ প্রকাশ করবেন। যাহার কর্ণ আছে সে শ্রবন করুক, ঐ সময় দূরে নয়। আমি সকলকে খোদার আশ্রয়ের ছায়াতলে একত্রিত করতে চেষ্টা করেছি কিন্তু ভবিতব্য পূর্ণ হওয়া অবশ্যম্ভাবী। আমি সত্য সত্যই বলছি। এদেশের পালাও ঘনিয়ে আসছে। নুহের যুগের ছবি তোমাদের চোখের সম্মুখে ভাসবে, লুতের যুগের ছবি তোমরা স্বচক্ষে দর্শন করবে। খোদা শান্তি প্রদানে ধীর, অনুতাপ কর তবে তোমাদের প্রতি করুনা প্রদর্শিত হবে।" (হাকিকাতুল ওহি রুহানী খাজায়েন, ২২ তম খন্ড পৃঃ ২৬৯)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

**বসন্ত রঙে মেতে উঠল বেলঘড়িয়া নিউ বাসুদেবপুর রোড অধিবাসী**

পূর্ব কলকাতায় গাঙ্গোর মহোৎসব উদযাপন :

*নাদের পরিচালনায় আয়োজিত হলো "সার্বজনীন রবীন্দ্রনাথ" নামে অনুষ্ঠান **