যুবদিবসে রাজপথে অধ্যাপক থেকে মাস্টারমশাইরা,প্রতিবাদ জানালো শিক্ষক যুবনেতার অনৈতিক অপসারনে।


১২ ই জানুয়ারি,আসানসোলঃ সমাজের মেরুদণ্ড গড়ার কারিগর শিক্ষক,সেই শিক্ষকের অনৈতিক অপসারনে ক্ষুদ্ধ শিক্ষক  সমাজ প্রতিবাদ জানাতে ডাক দেয় মৌন মিছিলের স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে। "বিশ্ব যুব দিবস" এ আসানসোলের রাজপথ প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে তরুন ফায়ারব্র্যান্ড যুবনেতা অশোক রুদ্রের আসানসোল পৌরনিগমের প্রশাসকপদ থেকে অপসারণের প্রতিবাদে। ওয়েবকুপা অর্থাৎ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনের সঞ্জীব পাণ্ডে, বীরু রজক, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজীব মুখার্জী ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির হিমাদ্রি শেখর পাত্র, সৌম্যদীপ ঘোষ,যদুনাথ রায়ের নেতৃত্বে প্রায় পাঁচহাজার শিক্ষক শিক্ষিকাদের  মৌনমিছিল অতিক্রম করে বার্নপুর রাজপথে। এখানে উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতিতে মমতা ব্যানার্জী স্বয়ং অশোক রুদ্রের নেতৃত্বে শিক্ষক সংগঠনের কাজের লিখিত প্রশংসা করে, কাউন্সিলর না হওয়া সত্বেও দিয়েছিলেন প্রশাসকের দায়িত্ব।

 যদিও তাঁর সারা রাজ্যব্যাপী কাজের পরিধি ও পরিচিতির নিরিখে এই পদপ্রাপ্তি আঞ্চলিক ভাবে বেঁধে দেওয়ার প্রচেষ্টা হলেও, অশোক রুদ্র  তিন মাস দায়িত্ব পেয়ে মানুষের পাশে থেকে প্রশাসক হিসাবে কাজ করার জন্য জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন মানুষের কাছে। তৃনমুল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য অশোক রুদ্রকে দায়িত্ব দিয়ে এইভাবে তিনমাসের মাথায় ছাঁটাই করায় অপমানিত শিক্ষক মহল আজ বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দের জন্মদিন কে বেছে নেয় মৌন মিছিল করে প্রতিবাদের জন্য। এখানে উল্লেখ্য তৃনমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র কে হঠাৎই নতুন প্রশাসকমন্ডলী থেকে বাদ দেওয়া হয় কলকাতা ও পূর্ব বর্ধমানের সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের কারসাজিতে ও জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে। আজকের মিছিলে শিক্ষক সমাজ এই অনৈতিক অপসারনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় ও করোনা মহামারীর সময়ে মমতা ব্যানার্জীর ডাকে সাড়া দিয়ে সংগঠনের তরফে মানবিক কাজ অশোক রুদ্রের নেতৃত্বে মনে করিয়ে দেয়। এই অপসারনে শিল্প অঞ্চলের বিরোধী দল, তৃনমুল দলের মিনি পাকিস্তানের ঘটকের কারসাজিকেই  গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পাশাপাশি দায়ী করেছেন ও উল্লেখ করছেন কাজের মানুষের জায়গা নেই বলে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

**বসন্ত রঙে মেতে উঠল বেলঘড়িয়া নিউ বাসুদেবপুর রোড অধিবাসী**

পূর্ব কলকাতায় গাঙ্গোর মহোৎসব উদযাপন :

*নাদের পরিচালনায় আয়োজিত হলো "সার্বজনীন রবীন্দ্রনাথ" নামে অনুষ্ঠান **