সাংবাদিক চন্দ্রশেখর কে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া হোক
দেশের আইন কারণ একদিকে মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে। অন্যদিকে সেই আইনকে অপব্যবহার করে ভালো মানুষকে বিপদে ফেলছে, তেমনি উদাহরণ দেশের প্রতিটি রাজ্যের ভুরি ভুরি আছে। রাজনৈতিক হিংসার ফল যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা বাংলার বুকে সাংবাদিকরাও টের পেয়ে যাচ্ছে। অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ সারাদিনের সাংবাদিক চন্দ্রশেখর সরকার বাংলার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী থানার আমঝাড়া হাটখোলাতে বাড়ি।তাকে মিথ্যা কেসে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে। গ্রামের একাধিক লোক একটি ঘটনার বিবরণ দিচ্ছে, ২০১৮ এক ভদ্রলোক সাংবাদিক চন্দ্রশেখর এর বাড়ির পাশে টি থাকতো, সেই ব্যক্তি হাজার পনের টাকা ধার নিয়েছিল সাংবাদিক চন্দ্রশেখর সরকারের কাছ থেকে, সেই টাকা চাওয়াতে ভয়াবহ বিপত্তি হয়ে গেল।তার নামে মিথ্যা অভিযোগ করল সেই ভদ্রলোকের নাবালক মেয়েকে দিয়ে। এই মামলা জাতীয় সিডিউল কাস্ট কমিশন পর্যন্ত গড়ায়। সেই সময় বিষয়টি কমিশনার হস্তক্ষেপে মিটিয়েও যায়। এরপর দুবছর কেটে গেলেও হঠাৎ গতকাল রাতে বাসন্তী থানার পুলিশ সক্রিয় হয়ে সাংবাদিক চন্দ্রশেখর সরকারকে গ্রেপ্তার করল। পকসো আইনে, তাকে মিথ্যা মামলায় হাজতবাস দিয়েছে আলিপুর জজ কোড। প্রশ্ন উঠেছে বাংলার বুকে এভাবেই সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা ঘটনা কি লজ্জাজনক নয়। সত্যি কি পোকসো আইনের অভিযুক্ত তিনি।যদি তাই হয়ে থাকতো তাহলে ২০১৯ সালের ঘটনা যখন ঘটে তখন কেন গ্রেফতার করলেননা বাসন্তী থানার পুলিশ। এখন কি হয়েছিল যে রাতারাতি তাকে গ্রেফতার করতে হয়েছিল! পুলিশের হঠাৎ সক্রিয়তায় সাংবাদিক মহলের একাংশের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে! বাংলার বাইরে থেকেও সাংবাদিক গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জনক বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে।সাংবাদিকরা তাদের নিজেদের কাজ বাদে , নাবালিকা মেয়েকে কি সত্যিই ধর্ষণ করতে গিয়েছিল? এ প্রশ্নে তোলপাড় দেশজুড়ে!এইভাবে সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে সাংবাদিকের স্বাধীন সত্তা গুলো কেড়ে নিচ্ছে একশ্রেণীর ক্ষমতা সিল ব্যক্তিরা। প্রশ্ন উঠেছে টাকার বিনিময়ে আইন কে সামনে রেখে অপব্যবহার করছে ক্ষমতাশীল নেতৃবর্গরা। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো প্রয়োজনভিত্তিক তদন্ত করা উচিত বলে মনে করছে দেশের একাংশ সাংবাদিকরা।দেশের সবার জন্য আইন সমান হলেও সাংবাদিকরা সমাজ সংস্কারের ধারক এবং বাহক তাদের জন্য সব বিষয়ে সুযোগ-সুবিধা ও আইনি ভাবে দেখা উচিত।সাংবাদিকদের কলমকে রোদ করতে যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছে একশ্রেণীর মাতব্বররা। এ বিষয়ে দেশ ও দেশের বাইরে প্রতিকার আওয়াজ তোলা দরকার মনে করছেন আন্তর্জাতিক মহলের সাংবাদিকরা।তবে সাংবাদিকদের একাংশ দাবি করছে যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলাটা থেকে নিঃশর্তে মুক্তি দিয়ে সাংবাদিক চন্দ্রশেখর সরকার সহ অন্যান্য সাংবাদিকদের সামাজিক মুক্তি দিক।সমাজের যারা ধারক এবং বাহক সেইসব সাংবাদিকদের আত্মমর্যাদা বলে যেন কিছু নেই আইনের জলে ভাসিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের কলম এভাবে রোদ যাবে না।দেশজুড়ে সমস্ত সাংবাদিকরা একটাই আওয়াজ তোলা দরকার সাংবাদিক পরিবারের মামলাগুলো নিঃশর্তে মুক্তি দিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিক নিরাপত্তা আইন আনা জরুরি সর্বদিক দিয়ে, সমস্ত সাংবাদিক পরিবারের অন্যায় অত্যাচার অবিচার এর হাত থেকে রক্ষা করতে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাচ্ছে অ্যাসোসিয়েশনের এর তরফ থেকে। আর যেন কোনোদিন কোনো সাংবাদিক মিথ্যা মামলায় না জেল হাজত হয়। তেমনি আইন আনার প্রয়োজন বলে মনে করছে সাংবাদিক মহলের একাংশের।পশ্চিমবাংলার সাংবাদিক চন্দ্রশেখর সরকারের গ্রেফতারের ঘটনাকে দেশজুড়ে ধিক্কার জানাচ্ছে বুদ্ধিজীবি মহল এর একাংশ।মিথ্যা মামলায় আর কোনো সাংবাদিক ভবিষ্যতে যদি না ফাঁসে সেদিকে পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের নজর রাখা উচিত বলে মনে করছে বুদ্ধিজীবী মহল। সাংবাদিক চন্দ্রশেখর কে এই মুহূর্তে নিঃশর্তে মুক্তির দাবি তুলেছে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক মহল্।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন