**কামারহাটি তে আবার দিনে দুপুরে তোলাবাজি দৌরাত্ম্য*

কামারহাটি , নিজস্ব সংবাদদাতা  : ১০ লক্ষ টাকা তোলা আদায়ের ভয় দেখিয়ে কামারহাটি বি টি রোড উপর একটি বড় ওষুধের দোকানে বোম বাস্ট করে আতঙ্ক ছড়ালো l এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘড়িয়া কামারহাটি ২৩০ বাস স্ট্যান্ড এবং মেডিসিন অফ সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজের ঠিক উল্টোদিকে l বি টি রোডের উপর জেড মেডি হাব ১ এর বিটি রোড কামারহাটি কলকাতা-৫৮ l 
গত ২১ তারিখ রাত ১১ টা থেকে১১. ১৫ মিনিটে একটি মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন আসে l ১০ লক্ষ টাকা না দিলে তার ছেলেকে ওষুধের দোকানের মধ্যে গুলি করে মারবে বলে হুম কি দেয় l  কামারহাটি নিজের বাড়িতে l সেই দিন বেলঘড়িয়া থানাকে জানানো হয় l যেই ফোন নাম্বার থেকে ফোন আসছে l

যে মোবাইল নাম্বারটি থেকে ফোন করা হয়েছিল এবং তোলাবাজির টাকা চাওয়া হয়েছিল l ওই নাম্বারটি কামারহাটি ফাঁড়িতে এই নাম্বার দিয়ে জি ডি করা হয় l তার পর রাত ১.৫৭  মিনিটে আবার একই নাম্বার থেকে ফোন আসে l তাড়া তাড়ি করে টাকা না দিলে কথা না শুনলে তার ছেলেকে গুলি করা হবে l 

এই ওষুধের দোকানের মালিক এবং যার কাছে ফোন আসে তার নাম জাকির হুসেন l উনি কামারহাটি জুট মিলে কাজ করেন l বি সি এম ইউ সদস্য এবং কামারহাটি অঞ্চলে সিপিআই(এম )কর্মী l গতকাল শনিবার সকালে যখন আবাসনে সিঁড়ি ঝাঁট দিচ্ছিল সেই সময় দেখে একটি প্লাস্টিকের মধ্যে ভরা বোমা রয়েছে l সাথে সাথে কামারহাটি জানানো হয় এবং বেলঘড়িয়া থানা কেউ জানানো হয় l বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ এসে বোম টি পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় l বার বার করে একই মোবাইল নাম্বার থেকে ১০ লক্ষ টাকা তোলা বাজির হুমকি আশায় ওষুধের দোকানের মালিক এবং সিপিএম নেতা কামারহাটি অঞ্চলের ভয় পায় l 

এবং বার বার পুলিশকে জানায় l  কিন্তু পুলিশ সেইভাবে তৎপর হয় নি l আজ সকাল ১১.২৪ নাগাদ একটি পঁচিশ ছাব্বিশ বছরের ছেলে দোকানে ওষুধ নিতে আসে l তখন সে ওষুধ চাই জ্বর ,কাশি ,সর্দি সেই সময় দোকানে মালিক জাকির হোসেন এবং তার ছেলে কেউ ছিলেন না  দোকানে l দোকানে ছিল কর্মচারী দানিশ আলম l সে ওই লোকটিকে ওষুধ এনে দেয় l ওষুধের দাম ২০ টাকা হয় l সে ১০০ টাকার একটি নোট দেয় l  পরে দোকানদার  ৮০ টাকা ছেলেটিকে ফেরত দেয়l ছেলেটি টাকা নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার l তার কিছুক্ষণ পরেই বোমাটি দোকানের ভিতরে ফাটে l কর্মচারী দীনেশ আলম দোকানের ভিতর থেকে বাইরে বেরিয়ে যায় l ধোঁয়ায় দোকান ঘর অন্ধকার হয়ে যায় l বিকট শব্দ হয় l যেহেতু দোকানে সেই সময় কোন লোক ছিল না তাই অল্পের জন্য বেঁচে যায় l  কর্মচারী দানিশ আলাম দোকানের পিছনের দিকে ওষুধ আনতে যায় l সেই সময় দোকান থেকে বের হওয়ার সময় ওষুধ কিনতে আসা খরিদ্দার সেজে আশা ছেলেটি একটি প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ  করে দোকানে ঢুকে l শোকেস এর সামনে মেঝেতে একটি তাজা বোমা রেখে বেরিয়ে যায় l ছেলেটি বেরিয়ে যাবার পর সাথে সাথে বোম ফাটে l সাথে সাথে কর্মচারী ওষুধের দোকানের মালিক জাকির হোসেনকে সমস্ত ঘটনাটি জানায় l দোকানে বোম ফেটেছে এই খবর পেয়ে সাথে সাথে জাকির হোসেন ও তার ছেলে দোকানে আসে l জাকির হোসেন দোকানের মালিক সে বেলঘড়িয়া থানা পুলিশকে জানায় l  কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মানস মুখার্জিকে জানান ও প্রদীপ মজুমদার ও আফজাল খানকে খবর দেন l তারা চলে আসে জাকির হোসেনের দোকানে ঘটনার খবর পেয়ে l এছাড়া কামারহাটি পৌরসভা মুখ্য প্রশাসক গোপাল সাহা খবর পেয়ে তিনি উপস্থিত হন lবেলঘড়িয়া থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী ওষুধের দোকানে চলে আসে l  দোকানে সি সি ক্যামেরা লাগানো আছে l  সেই ক্যামেরা ছবি দেখা হয় l বেলঘড়িয়া থানা পুলিশ আধিকারিক সি সি ক্যামেরা ফুটেজ তুলে দেওয়া হয় l সেই সিসি ক্যামেরা ফুটেছে দেখা যায় ছেলেটি দোকান আসে ওষুধ নেই এবং একটি প্লাস্টিক ব্যাগ রেখে যায় l তার বেরিয়ে যাবে কিছুক্ষণ প্রচন্ড শব্দে বোম টি ফেটে ওঠে l  প্রশ্ন উঠছে এই ওষুধের দোকানের পাশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক আছে l ও এটিএম আছে এবং একটি জনবহুল জায়গা l সব সময়ের জন্য মানুষ এই কামাটি বাসস্ট্যান্ডে থাকে l অটো স্ট্যান্ড ২৩০ বাস স্ট্যান্ড l সেখানে দিনে দুপুরে এইভাবে বোম বাস্ট করা l এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয় l  জাকির হোসেন জানান কোনদিন এই ধরনের ঘটনা এত বছরে ঘটেনি l এখন উনি এবং উনার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে l ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমেছে l বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে l ডিসি সাউথ আনন্দ রায় ও বেলঘড়িয়া থানার আইসি রতন চক্রবর্তী আসেন l রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা এই তোলাবাজি রাজত্ব চলছে l  তার ব্যতিক্রম হল না কামারহাটিতে l একজন ওষুধ ব্যবসায়ী কাছে টাকা চাইছে এবং দিনে দুপুরে দোকানে বোম  রেখে যাচ্ছে এতে সাধারণ ব্যবসায়ী কি নিরাপদ l   এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারো পুলিশের অপদার্থতা প্রকাশ পেলো l দুদিন ধরে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষকে জানানো হওয়া সত্বেও পুলিশ গুরুত্ব না দেয়ায় আজকে একটি ওষুধের দোকানে বোম রেখে যেতে সাহস পেল দুষ্কৃতীরা l এই কামারহাটি অঞ্চল দুষ্কৃতী রাজ ক্রমশই বেড়ে চলেছে সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ীরা পুলিশের অপদার্থ তার জন্য এই দুষ্কৃতীরা সাহস পেয়ে যাচ্ছে l  
ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ ক্রমশ ভয়-ভীতি তাদের মধ্যে বেড়ে চলেছে l এই ঘটনা বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে l এখন দেখা যাক সি সি টিভির ফুটেজ পুলিশ কর্তৃপক্ষ নিয়ে গেছে l বেলঘড়িয়া থানার তদন্তে কি উঠে আসে l বেলঘড়িয়া থানা পুলিশ কতক্ষণে এই সমস্ত দুষ্কৃতীদের ধরতে পারে l এখন অপেক্ষায় থাকতে হবে পুলিশ কর্তৃপক্ষ ওপর l ওষুধের মালিক কে জানায় যে ফোনটি এসেছে সেটি বড় ছাই ময়দান এবং রজন বাগানের কর্নার থেকে এই ফোনটি করা হচ্ছে l বার বার করে ১০ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে পুলিশ যখন মোবাইল ফোনের টাওয়ার চিহ্নিত  করে জানাই l এখন অপেক্ষায় থাকতে হবে এই অপরাধীদের কত তাড়াতাড়ি বেলঘড়িয়া পুলিশ কর্তৃপক্ষ ধরতে পারে l এখন সেটাই দেখার বিষয় l

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

**বসন্ত রঙে মেতে উঠল বেলঘড়িয়া নিউ বাসুদেবপুর রোড অধিবাসী**

পূর্ব কলকাতায় গাঙ্গোর মহোৎসব উদযাপন :

**বাংলার সন্মান বেঙ্গল এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড ২০২০**